আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০/১১/২০২৩ ৯:১৫ এএম

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সশস্ত্র সংঘাতে আটকা পড়েছে ‍দুই শতাধিক বিদেশি নাগরিক, তাদের বেশিরভাগই থাইল্যান্ডের। আটকে পড়াদের উদ্ধার করে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত কয়েক দশক ধরে সামারিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী। সর্বশেষ অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর সাথে গ্রামাঞ্চলে মারাত্মক সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স। বিদ্রোহী বাহিনীর একটি দল সম্প্রতি চীন সীমান্তে জান্তা লক্ষ্যবস্তুতে একের পর এক আকস্মিক হামলা চালিয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাই। এরপর থেকে দেশটিতে গণতন্ত্রপন্থিদের ওপর নিপীড়ন এবং অভ্যন্তরীণ সংঘাত বেড়েই চলছে। প্রায় প্রতিদিনই সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিরোধ গ্রুপগুলোর লড়াই হচ্ছে। সেনাবাহিনীর হামলায় দেশটিতে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ২৬৬ থাই নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনছেন। তাদের সঙ্গে আনা হচ্ছে ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুরের নাগরিকদেরও। তবে তাদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশিরা সবাই শান প্রদেশে আটকা পড়েছিলেন। তাদের প্রথমে চীনা শহর কুনমিংয়ে নেওয়া হবে। সেখান থেকে দুটি চার্টার্ড বিমানে করে নেওয়া ব্যাংকক। পরীক্ষা শেষে যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হবে তাদের।

আজ রবিবার রাতে তাদের থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর কথা বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট। থাই কর্তৃপক্ষ আগে জানিয়েছিল, অনেকেই পাচারের শিকার হয়ে মিয়ানমারে আটকা পড়েছেন

পাঠকের মতামত